বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রাহক চাপ সামলাতে হিমশিম ব্যাংক

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৫২

ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও গ্রাহকরা অনেকেই তা আমলে নিচ্ছেন না। এমনকি লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক বিধিনিষেধে ব্যাংক সাত দিন বন্ধ থাকছে বুধবার থেকে। এর আগের দিন ব্যাংকগুলোতে সকাল থেকে ভিড় করেছেন গ্রাহকরা। খোলার আগেই প্রতিটি ব্যাংকের সামনে তৈরি হয় দীর্ঘ লাইন।স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্রাঞ্চের ভেতরে কম লোক প্রবেশের কড়াকড়ি থাকলেও বাইরে ভিন্ন চিত্র। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ।

ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও গ্রাহকরা অনেকেই তা আমলে নিচ্ছেন না। এমনকি লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। অনেকে এসেছেন টাকা তুলতে, কেউ এসেছেন চেক জমা দিতে, কেউ এফডিআরের সুদ তুলতে। অনেককে দেখা গেছে সঞ্চয়পত্র ভাঙানো ও মুনাফার টাকা তুলতে। ব্যবসার চালান জমা দিতেও ভিড় করেন কেউ কেউ।ব্যাংকাররা বলছেন, লকডাউন, ব্যাংক বন্ধ এসব কারণ অনেকেই নগদ টাকা ঘরে রাখছেন। যে কারণে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পরিমাণ বেড়েছে।অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।

তারা বলছেন, মানুষ মনে করছে সামনে আর ব্যাংক খোলা থাকবে না। এ কারণে সবাই টাকাপয়সা তুলে হাতে রাখছেন। এমন ভিড় ঈদের আগেও দেখা যায়।

কারওয়ান বাজার ওয়ান ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা শফিকুর রহমান বলেন, সামনে সাত দিন ব্যাংক বন্ধ। পরে যদি বন্ধ আরও বেড়ে যায়, এ জন্য নগদ টাকা তুলে রাখছেন।সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আগে কখনো এমনভাবে সাত দিন ব্যাংক বন্ধ হয়নি। ভেবেছি, কঠোর বিধিনিষেধ হলেও ব্যাংক সীমিত খোলা থাকবে। কিন্তু গতকাল (সোমবার) বন্ধের খবর দেখে সকালে ব্যাংক খোলার আগেই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি। জানি না, কখন টাকা তুলে বাসায় যেতে পারব।’এটিএম থেকে নগদ লেনদেনের সুযোগ থাকলেও যারা একটু বেশি পরিমাণে টাকা তুলছেন তাদের ব্যাংকে আসতে হচ্ছে।অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা থাকলেও তার সঙ্গে বেশির ভাগ গ্রাহক খুব একটা পরিচিত নন বলেও জানান ব্যাংকাররা।

বুধবার থেকে এক সপ্তাহের যে কঠোর সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আসছে, তাতে ব্যাংকের কেবল বন্দরকেন্দ্রিক শাখা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ সময় ব্যাংক শাখার পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেয়া ব্যাংকের সব উপশাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে।তবে সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইন সব সেবা।এ জন্য এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটিএম থেকে তোলা যাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর